mamun386.blogspot.comআপনাকে স্বাগতম।😏

ফেল করাও গুরুত্বপূর্ণ: জে. রবার্টস

নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী স্যার রিচার্ড জে. রবার্টস বলেছেন, যে কোনো কাজে ফেল করাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ফেল করলে সফলতা অনেক নিকটে চলে আসে। আমার ফেলের অর্জন আমাকে নোবেল বিজয়ী হতে সহায়তা করেছে।


স্যার রিচার্ড জে. রবার্টস বলেছেন, জীবনে সফল হতে হলে ব্যর্থতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যর্থতা থেকেই শেখা যায় জীবন চলার পথে বেশিরভাগ বড় উদ্যোক্তা, নেতা এবং বুদ্ধিজীবীদের অনেক ব্যর্থতা রয়েছে। কিন্তু তারা ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করেননি। তাই জীবনে ঝুঁকি নিতে হবে এবং ব্যর্থ হতে ভীত হওয়া যাবে না। নিজের মেধাকে দেশের কাজে লাগাতে হবে।



গতকাল বুধবার (০৬ মার্চ) রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২তম সমাবর্তন বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।



বিশ্ববিদ্যালয়ের বসুন্ধরা ক্যাম্পাসে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।


১৯৯৩ সালে ফিজিওলজি বা মেডিসিনে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত রিচার্ড জে. রবার্টসকে সমাবর্তন বক্তা করা হয়। রবার্টস একজন মলিকুলার বায়োলজিস্ট এবং সক্রিয় গবেষক। ১৯৪৬ সালে ইংল্যান্ডের ডারবিতে জন্ম নেওয়া এই বিজ্ঞানী এখন নিউ ইংল্যান্ড বায়োল্যাবসের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। ১৯৭৭ সালে তিনি 'জিনের বিভক্ত হওয়ার প্রকৃতি' (স্প্লিট নেচার অব জিন) আবিষ্কার করেন। ২০০৮ সালে তাকে নাইটহুড উপাধি দেওয়া হয়।



রিচার্ড জে. রবার্টস বলেন, 'অনেকে চাকরিতে যোগ দিই। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হলো তুমি কী হতে চাও। যখন কোনো কিছু খুঁজে পাবে সেটা অর্জনে তোমার আগ্রহ থাকতে হবে। পরিবর্তন আনতে কখনও ভীত হয়ো না।'



বাংলাদেশ সম্পর্কে গ্রাজুয়েটদের প্রতি তিনি বলেন, "আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এখানে এমন কিছু হচ্ছে যার মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে 'জেনেটিক্যালি মডিফায়েড ফুড' (জিএমও)। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্য লাভ করেছে। তাই তোমাদের মেধাকে দেশের জন্য কাজে লাগাতে হবে।"


জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে রবার্টস বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্ট আছেন যিনি জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বাস করেন না। অথচ জলবায়ু পরিবর্তন যে হচ্ছে এটা বাংলাদেশের চেয়ে আর কেউ বেশি জানে না। কারণ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এখানে বাড়ছে।'


অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, উচ্চশিক্ষার প্রত্যাশিত মান নিশ্চিত করতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আইন অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। বিষয় বাছাই, শিক্ষাক্রম প্রণয়ন, শিক্ষাদানের পদ্ধতি অব্যাহতভাবে উন্নত ও যুগোপযোগী করতে হবে। এক্ষেত্রে শুধু ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করতে হবে।


অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি ড. রিটা আর. কলওয়েল, উপ-উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক জি ইউ আহসান প্রমুখ।



সমাবর্তনে তিন হাজার ৪৮৬ শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হয়। এর মধ্যে দু'জন কৃতী শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর ও নয়জনকে ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। চ্যান্সেলর স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা হলেন– স্নাতক পর্যায়ে মাইশা মালিহা প্রমি ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সুমাইতা সাইরা হাসান। ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা হলেন– শরোজা নরিন তানহা, সুভাম আগারওয়াল, মোহাম্মদ আবদুল হাদি, দিপিতা ফাহিম, তানজিলা ওসমানি, মোহাম্মদ খাদেমুল বাশার, কাশফিয়া জাকির মৌ, তাবিয়া হোসেন ও শাহনাজ সিদ্দিকা।

No comments

Theme images by enot-poloskun. Powered by Blogger.